স্টাফ রির্পোটার,দিনাজপুর : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের মূল্য আকাশ চুম্বি। নি¤œ আয়ের মানুষ দিশেহারা । চাল ও পিয়াজের বাজারে আগুন লেগেছে। মানুষ পিয়াজ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। হতাশায় ভ’গছে সাধারন মানুষ।
বাজাওে চাল ও পিয়াজের অগ্নি মূল্যও পাশাপাশি অন্যান্য শাখ সব্জির মুল্যও অনেক বেড়ে গেছে। সাধারন মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। চালের দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন আমন ধান না আশা পর্যন্ত এই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। কার্তিক মাস চলছ্ েচারিদিকে অভাব চলছে। এসময় চালের মুল্য বৃদ্ধি সাধারন মানুষকে মহাবিপদে ফেলেছে। অপর দিকে কাজ নাই বেকার হয়ে পড়েছে দিন মজুর ও কৃষকরা। অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। চেয়ে মেঙ্গে কিছু সংগ্রহ করলেও খাওয়ার উপায় নাই। অভাব চেপে বসেছে। মানুষ কচুর ডাাটা এনে খাচ্ছে। একজন সাধারন মানুষ জানান, এমন অভাব জীবনে দেখেনি। ব্যবাসায়ী একজন জানান, চালের দাম আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। অপর দিকে মিলারদেও পোয়াবার। মিলাররা সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের মুনাফা। দালাল লাগিয়ে ধান সংগ্রহ করছে আর বিক্রির ব্যাপারে অধিক মুনাফা লুটছে। একজন মিলার জানান, এক সময় ক্ষতির শিকার হয়েছি। সুযোগ পেয়েছি মুনাফা অর্জন করছি।
চালের সাথে পাল্লা দিয়ে পিয়জের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপায়ন্তর না পেয়ে কষ্ট করেই খাওয়া দাওয়া চালাচ্ছে মানুষ। অধিকাংশ মানুষ পিয়াজ খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে। পিয়াজ না পেয়ে পেপের সালাত তৈরী কওে খাচ্ছে। বাজাওে সব দোকানে পিয়াজ নাই। ২/১টি দোকানে সামান্য পিয়াজ নিয়ে বসে আছে। পিয়াজ আর চালের মুল্যবৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য শাখ সব্জির মুল্যও অনেক বেড়ে গেছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। শাখ সব্জির মুল্যবৃদ্ধিতে সাধারন মানুষ শাখ খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছে। গরুর মাংস সাড়ে ৪ শত টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫ শত থেকে সাড়ে ৫ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুরগীর দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়লার মুরগী ১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রি হচ্ছে রুই ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২২০ টাকা, মিরকা ১৭০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ মাছ, মুরগী, গরুর মাংস খাওয়ার আশা বাদ দিয়েছে।
বাজাওে চাল, পিয়াজ, শাখ সব্জির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষ পড়েছে মহা বিপদে। বাজাওে এমন বৃদ্ধি অতিতে আর কখনো হয়নি। বাজাওে মুল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা চলছে। সাধারন মানুষের চরম হতাশা গুস্থ হয়ে পরেছে। কুল কিনারা খুজে পাচ্ছে না। নতুন ধান বাজাওে আসথে এখনো প্রায় ২০ দিন এক মাস বাকী। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের মুল্য বৃদ্ধি সাধারন মানুষকে মহা সংকটে ফেলতে পারে।